নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের ড্রেজার জুনিয়র হাই স্কুল বন্ধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ও ড্রেজার অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও স্কুলটি বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে মামলা বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) ব্যারিস্টার কাজী আখতার হোসাইনের জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ রাখা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কাজী আখতার হোসাইন, ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ ফরহাদ ও এ এইচ এম রেহানুল কবীর রনি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে `৩৩ বছরের পুরোনো স্কুল বন্ধ ঘোষণা` শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই সংবাদটি সংযুক্ত করে জনস্বার্থে গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী কাজী আখতার হোসেন।
রিটে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, ড্রেজার পরিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে ড্রেজার পরিদপ্তরের নিজস্ব খরচেই ‘ড্রেজার জুনিয়র হাইস্কুল’টি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ২০১৬ সাল পর্যন্ত ড্রেজার পরিদপ্তরের নিজস্ব অর্থায়নে চলতো স্কুলটি। ২০১৭ সালে ড্রেজার পরিদপ্তর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নীট বেইস সেট আপে অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু সেখানে এই স্কুলটি অন্তর্ভুক্ত না করায় ড্রেজার পরিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর মৌখিক নির্দেশনায় ৩৩ বছর পুরোনো ‘ড্রেজার জুনিয়র হাইস্কুল’টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।